কর্মস্থল থেকে ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না ভৈরব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার জালাল আহমেদের (৩০)। তিনি ভৈরব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে ক্যাশিয়ার পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন।
দুর্গাপূজার ছুটিতে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে অফিস শেষে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যখন ভৈরব স্টেশন থেকে ঢাকামুখী ট্রেনটি ছেড়ে যায় ঠিক তখনই চট্রগ্রামমুখী একটি কার্গো ট্রেনের ইঞ্জিনের বগি এগারো সিন্ধুর গৌধুলী ট্রেনের শেষের দুটি বগিকে সজারো ধাক্কা দিলে রেল লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এসময় ১৭ জন যাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া শতাধিক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বলেন, অফিস শেষ করে ঢাকার বাসার উদ্দেশ্যে এগারো সিন্ধুর ট্রেন চড়ে যাচ্ছিলেন জালাল। দুর্গাপূজার ছুটি একদিন। সেই ছুটি পরিবারের সাথে কাটানোর জন্য তিনি যাচ্ছিলেন। তার আর পরিবারের সদস্যদের কাছে ফেরা হলো না।
নিহতের স্ত্রী নীরা বেগম বলেন, দুপুরের দিকে ট্রেনে উঠার আগে ফোনে কথা হয়েছে তিনি ট্রেনে করে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু ঢাকায় আর তার ফেরা হলো না। এর কিছুক্ষণ পরই তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারি নি। তারপর শুনলাম ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে সেই ঘটনায় অনেক যাত্রীর মারা গেছে। তারপরই দ্রুত ঢাকা থেকে ছুটে এসে তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
রাজীবুল হাসান/এমআইএইচএস