গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে শারমিন খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ দাফন না করে নদীর বাঁধে ফেলে পালিয়েছেন স্বামী। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের খামার বাগছী এলাকার ঘাঘট নদীর বাঁধের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শারমিন খাতুন উপজেলার হাটলক্ষ্মীপুর এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী। ওই দম্পতি কামারপাড়া ইউনিয়নের হিয়ালী গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন শারমিন খাতুন। চিকিৎসার জন্য স্বামী খোকন মিয়া ভ্যানযোগে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে সাহায্য (টাকা) তুলে বেড়াতেন। সারাদিন ঘুরে যা পেতেন তা দিয়েই চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সংসার চলতো। প্রতিদিনের মতো বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে বের হন খোকন। উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে গেলে স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়।
এ সময় এলাকার লোকজন আর্থিক সহযোগিতা করে মরদেহ দাফনের জন্য খোকনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু খোকন মিয়া স্ত্রীর মরদেহ দাফন না করে খামারবাগছী এলাকার ঘাঘট নদীর বাঁধে ফেলে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়রা ওই নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলা যাচ্ছে না। মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এছাড়া মরদেহ ফেলে স্বামী খোকন মিয়া কেন পালিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শামীম সরকার শাহীন/এসজে/জিকেএস