দেশজুড়ে

সামুদ্রিক মাছে সয়লাব আড়ত, ইলিশ নেই

বঙ্গোপসাগরের পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ইলিশের দেখা না মিললেও জালে ধরা পড়ছে পাঙাশসহ সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ। মাছের বিক্রির হাঁক-ডাকে সরব আড়তগুলো।

জেলার বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর-মহিপুর ও কুয়াকাটার আড়তে দেখা যায়, সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কেজি ১০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫-১৫ কেজির পাঙাশ আসছে আড়তে। এছাড়া বড় সাইজের পোয়া, কোরাল, লাক্কাসহ নানা রকমের সামুদ্রিক মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা।

কুয়াকাটা এলাকার জেলে বেল্লাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন ইলিশের কোনো দেখা নেই। কিছু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাও সাইজে অনেক ছোট। তবে আমরা বেশ কিছু পাঙাশ-পোয়াসহ সামগ্রিক অনেক মাছ পাচ্ছি। গুলো দিয়ে কোনো মতে খরচ জোগাতে হয়।

আরও পড়ুন: নদীতে ইলিশ নেই, জেলেরা হতাশ 

নাসির উদ্দিন নামের এক আড়ৎদার জানান, কুয়াকাটার আড়তগুলোতে ইলিশের দেখা মিলছে। তবে বড় সাইজের পাঙাশ, কোরাল, লাক্কা, পোয়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন আড়তগুলোতে সামুদ্রিক ১০-১৫ রকমের মাছে সয়লাব থাকে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞায় সমুদ্রে সব ধরনের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পাঙাশসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়ায় জেলেরা লাভবান হচ্ছেন। দুই মাস পর বেশি ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এবছর সে পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জিকেএস