মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ভাড়াবাসা থেকে রাহাফুল খান (২২) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাহাফুল ভবেরচর ইউনিয়নের চরপাথালিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে।
রাহাফুলের বড়ভাই হৃদয় খান বলেন, রাহাফুল পেশায় ব্যবসায়ী। ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউশিয়া বহুমুখী উন্নয়ন সমিতি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিউ নবাবপুর ইলেকট্রিক নামে তার একটি দোকান আছে। ১ নভেম্বর থেকে দোকানের কাছে আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ওয়াজেদ আলীর আধা পাকা বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রোববার সকালে আমরা জানতে পারি দুদিন ধরে রাহাফুল দোকানে যায়নি। পরিবারের সঙ্গে শনিবার সকালে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ।
হৃদয় খান আরও বলেন, রোববার দুপুরে আমরা তার ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে রুমের বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পাই। তবে দরজাটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাই। পুলিশ তালা ভেঙে রুমে ঢুকে রাহাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে। তার মাথা, পেট, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।
রাহাফুলের নানি মমতাজ বেগম বলেন, সে যে রুমে ভাড়া থাকতো তার আশপাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছে। রাহাফুলের রুমটিও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় স্পষ্ট তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতে ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসজে/জিকেএস