দেশজুড়ে

রংপুরে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম, কমেছে ডিম-সবজির

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আলু ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। একইসঙ্গে দাম বেড়েছে টমেটো ও গাজরের। তবে কমেছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও কিছু সবজির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে চিনি, চাল, ডাল, মাছ ও মাংসের দাম।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১৪৫-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ১২০ টাকা। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা।

কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৬৫-৭০ টাকা, শিল ৬০-৬৫ টাকা এবং ঝাউ আলুর দাম ৫ টাকা কমে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০ টাকা থেকে কমে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৬-৪৮ টাকা থেকে কমে ৪০-৪২ টাকা, দেশি আদা আগের মতোই ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটোর দাম বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা, ১০-২০ টাকা বেড়ে গাজর ১৩০-১৪০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুনের দাম কমে ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের বেগুন ৭৫-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলার দাম কমে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা , প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৩০-৪০ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙে ৫৫-৬০ টাকা, দুধকুষি কমে ৪০-৪৫ টাকা, পটলের দাম কমে ৩৫-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, কাকরোলের দাম কমে ৫০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, শিমের দাম কমে ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে এখন শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আলু আমদানি করেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৬৫০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটেরডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ২৮০-৩৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এসজে/এএসএম