জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী—এমন প্রশ্নের জবাব কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেছেন, একটুও না। একইসঙ্গে চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বিরতি দিতে দলকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। পরে ফেরার পথে নতুন জেলখানা মোড়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার অনেক হামলা-মামলা করছে। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। হাজার-হাজার, লাখ-লাখ নেতাকর্মী আজ গৃহহারা-বাড়িহারা। তারা বাইরে থাকছে। এদের আমাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে তারা মানুষকে পিটাইয়া-মাইরা দেশ শাসন করবে, জেলে দিয়ে দেশ শাসন করবে; এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয়তো আমি ভীতু বলে কথা বলতে পারছি না। কিন্তু আমি মনে করি দলে যারা সাহসী ভাইয়েরা আছে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত।’
সরকারকে নিজের স্বার্থে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির বহিষ্কৃত এ নেতা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। বিএনপি নির্বাচনে আসে না, এটা বিএনপির ব্যাপার। বিএনপি যদি নির্বাচন বয়কট করতে চাই তখন আপনারা দেখেন নির্বাচন বয়কট করে কি না। আপনারা (সরকার) হামলা-মামলা করবেন কেন? লোকদের বাড়িতে ঘুমাতে দেবেন না কেন? তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অভিযোগ করেন, মামলা করেন। মামলা করবেন আবার জামিন দেবেন না, লোকদেরকে দাবড়াইয়া বেড়াবেন। আবার বলবেন নির্বাচনে আসতে হবে, এভাবেতো হবে না।’
আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ‘আমি টোকেন টেস্ট পলিসি হিসেবে নির্বাচনে এসেছি। আমি বলতে চাই, হ্যাঁ; আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু কী পরিবেশ করো সেটাও আমরা দেখতে চাই। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ করতে পারো কি না সেটাও দেখতে চাই। আমার দল (বিএনপি) তোমাদের (সরকার) বিশ্বাস করতে পারছে না বলে তারা নির্বাচনে আসছে না। আমি তোমাদের বিশ্বাস করেছি তাই নির্বাচনে এসেছি।’
বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপিরতো কর্মসূচির শেষ নাই। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। আজ হরতাল গেলো, হরতালের পরে কী কর্মসূচি দেবে আমি জানি না। আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, এই সমস্ত কর্মসূচির নামে মানুষকে হয়রানি না করে আপাতত রেস্ট করেন, অপেক্ষা করেন। নির্বাচনে আসেন নাই, ঠিক আছে। নির্বাচনে আসার সময় চলে গেছে। এখন আর বলে লাভ নেই। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আমিই আন্দোলনের পরিবেশ তৈরি করে দেবো। তখন আমরা ব্যাপক আন্দোলন করার সুযোগ পাবো। ততদিন একটু স্বস্তি দেন। আমরা নেতাকর্মীদের জেল থেকে বের করে নিয়ে আসি।’
এসকে রাসেল/এসআর/জেআইএম