ছয়জনের নাম ঘোষণা করলেও নোয়াখালীর ছয়টি আসনে তৃণমূল বিএনপির কেউই মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে স্বতন্ত্রসহ ১৬ দলের ৫৫ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নোয়াখালী-১ আসনে সৈয়দ আহমদ ও নাসির উদ্দিন, নোয়াখালী-২ আসনে দেলু মিয়া, নোয়াখালী-৪ আসনে মোজাক্কের বারী, নোয়াখালী-৫ আসনে কামাল উদ্দিন ও নোয়াখালী-৬ আসনে নাছিম বায়জীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাদের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
তালিকায় নাম থাকা নোয়াখালী-১ আসনের সৈয়দ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, শেষ সময়ে তৃণমূল বিএনপি আমাদের নাম ঘোষণা করেছে। কাগজপত্র জোগাড় করে জমা দিতে গিয়ে সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই কোথাও আমরা মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি।
নোয়াখালী-৫ আসনের কামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় আমার নাম আসেনি।
তবে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আমার কার্যালয় থেকে এ নামে কেউ মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি। এমনকি এ নামে কেউ মনোনয়ন জমা দিতেও আসেননি।
খবর নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দ আহমদ এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন পার্টি নামে অনিবন্ধিত একটি সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। সংগঠনটি নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপিকে সমর্থন দেওয়ায় তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে মো. কামাল উদ্দিন আগে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করতেন বলে তিনি দাবি করেন। সম্প্রতি তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আসনে মনোনয়ন পান। তবে এলাকায় তাকে তেমন কেউ চিনে না।
জেলার ছয়টি আসনে ১৬ দলের ৩৮ জন ও স্বতন্ত্র ১৭ জনসহ মোট ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/এএসএম