রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। তিন মেয়াদে এমপি থেকে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তার অর্থ সম্পদ। পাঁচ বছর আগে হাতে নগদ অর্থ থাকলেও ব্যাংকে কোনো টাকা ছিল না তার। কোনো সম্পদ ছিল না সন্তানদের নামে। এখন তার স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, জমিসহ অঢেল সম্পদ। সবাই এখন কোটিপতি।
Advertisement
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য মিলেছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা যায়, ওমর ফারুক চৌধুরীর নগদ অর্থ ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০২ টাকা। এসময় তার ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ শূন্য দেখানো হয়। তবে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ট্রাক, ৬৩ লাখ টাকার একটি প্রাইভেটকার, ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৭ টাকার একটি শুল্কমুক্ত জিপ গাড়ি ও ১০ ভরি সোনা ছিল তার।
সন্তানদের নামে কোনো অর্থ-সম্পদ ছিল না। স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ১১৪ টাকা ও ২০ ভরি সোনা। ওমর ফারুকের নামে ছিল ৬০ বিঘা কৃষি ও ১০ বিঘা অকৃষি জমি। আর স্ত্রীর নামে ছিল সোয়া ২২ লাখ টাকার অকৃষি জমি।
Advertisement
২০২৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা যায়, এমপি ফারুকের নগদ অর্থ ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা ও ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ ২২ হাজার ৬ টাকা। এছাড়াও ১৮ লাখ টাকার গাড়ি, ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র ও ১০ ভরি সোনা, স্ত্রীর নগদ অর্থ ও সঞ্চয়পত্রের অর্থের পরিমাণ ১৪ লাখ ৩১ হাজার ১১৪ টাকা ও ২০ ভরি সোনা দেখানো হয়েছে।
সন্তানদের কাছে আছে নগদ ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ টাকা। সঞ্চয়ে আছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া তাদের গাড়ি আছে ১৭ লাখ টাকার। তাদের নামে আছে ৮০ ভরি সোনা।
২০১৮ সালে ওমর ফারুকের নামে ৬০ বিঘা জমি থাকলেও ২০২৩ সালে নতুন করে তার স্ত্রীর নামেও ৬০ বিঘা জমি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ৮৫ লাখ টাকার আবাসিক ভবন ও ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার বাড়ি দেখানো হয়েছে তার নামে।
সাখাওয়াত হোসেন/এএসএ/কেএসআর
Advertisement