অর্থনীতি

বাংলাদেশ-সৌদি বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা বেশি

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা ব্যাপক। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গত ৫ দশকে নতুন উচ্চতায় স্থান পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের কারণে ২০২২ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সামনের দিনে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ২০২৬ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশের যথাক্রমে স্বল্পোন্নত ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সমূহ মোকাবিলায় আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি রপ্তানির গন্তব্যস্থলের সম্প্রসারণ করা অপরিহার্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য সৌদি আরব একটি আদর্শ গন্তব্যস্থল হিসেবে অভিভূত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরবের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালেদ-আল ফালেহের বাংলাদেশ সফর দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছার দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। বাংলাদেশে খাদ্য, জ্বালানি, লজিস্টিকস এবং পণ্য উৎপাদন খাতে সৌদির বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুসংহতকরণের প্রত্যয় পরিলক্ষিত হয়েছে।

ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার মনে করেন, অবকাঠামো, জ্বালানি এবং উৎপাদনখাতসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি বিনিয়োগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মীদের জন্য সৌদি আরব সর্ববৃহৎ গন্তব্যস্থল। যেখানে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের কর্মীরা সৌদি আরবের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে নিজ দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছেন।

দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে দুদেশের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির ওপর জোড়ারোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

ইএআর/জেডএইচ/

Advertisement