দেশজুড়ে

আগুন দেখে পালালেন বাড়ির সবাই, পুড়ে অঙ্গার প্যারালাইজড বৃদ্ধা

বাড়ির সবাই ছিলেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ভোরের দিকে হঠাৎ দেখা যায় বাড়িতে আগুন লেগেছে। তখন আগুন দেখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান সবাই। কিন্তু পালাতে পারেননি প্যারালাইজড (পক্ষাঘাতগ্রস্ত) বৃদ্ধা জাকিয়া খাতুন (৬৫)। পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা গেছেন তিনি।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের নয়ানপুর গ্রামের দেওয়ান আলীর বাড়ির রমজান আলীর ঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গৃহকর্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও বাড়ির লোকজন জানান, ভোরে ফজরের নামাজের জন্য উঠলে ঘরে আগুন দেখতে পান। পরে চিৎকার দিয়ে বাড়ির লোকদের ডাকতে থাকেন। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে লোকজন উপস্থিত হয়ে পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নোয়াখালীর সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের একট ও ফেনী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নেভায়। আগুনে বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দেখা যায়, পুড়ে বিছানায় অঙ্গার হয়ে মারা গেছেন বৃদ্ধা জাকিয়া খাতুন।

বাড়ির মালিক হোসেন আহমদ জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমে গোয়ালঘর ও রান্নাঘর থেকে বসতঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও কাপড়-চোপড়সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরনের কাপড় ছাড়া তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হবে।

ফেনী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা উজ্জ্বল বডুয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/এএসএম