নাশকতার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং নাশকতা এড়াতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগের দুটি ট্রেনের একটির রুট সংক্ষিপ্ত ও আরেকটি ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রেন দুটি হলো ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরের মধ্যে চলাচলকারী আই আর ৫৬-৫৬৪ এবং রাজশাহী থেকে পার্বতীপুরে চলাচলকারী ‘উত্তরা এক্সপ্রেস’।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে এ দুটি ট্রেন সাময়িক বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জারি করা এক আদেশে ট্রেন দুটি বন্ধ করা হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে পার্বতীপুরে চলাচলকারী উত্তরা এক্সপ্রেস বন্ধ এবং আই আর ট্রেন ঈশ্বরদী-রহনপুরের রুট সংক্ষিপ্ত করে শুধু রাজশাহী-রহনপুরের মধ্যে চলাচল করবে।
রেলওয়ের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ট্রেন দুটি স্টেশন থেকে গভীর রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ছেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া ভোরবেলায় ট্রেনে তেমন যাত্রীও থাকে না। এসময়টাতে আগুনে পুড়িয়ে নাশকতার সুযোগ রয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দিয়ে চক্র লিংক করে নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেন দুটি অনেক রাতে যাত্রা করে। আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না। নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেনযাত্রা করতে যা যা করার দরকার আমরা মিটিং করে সেটি করছি।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ করা ট্রেনের ইঞ্জিন ও জনবলগুলো আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া এ ট্রেনগুলো থেকে তেমন আয়ও আসে না। তবে শুধু এ দুটি নয়, আরও কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান মহাব্যবস্থাপক।
এদিকে ট্রেন দুটির চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় স্বল্প যাত্রায় চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। এসব ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের বিকল্প ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রহনপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রায়হান কবির নামের এক যাত্রী তীব্র শীতের মধ্যে এসেছিলেন স্টেশনে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি চরম বেকায়দায় পড়েন বলে জানান। গত ১৬ ডিসেম্বর দিনগত মধ্যরাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে একটি বগির কয়েকটি সিট পুড়ে যায়। এছাড়া ২৭ নভেম্বর রাতে ঈশ্বরদী জংশনের ওয়াশপিটে দাঁড়িয়ে থাকা আই আর ট্রেনের বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১১টি সিট পুড়ে যায়।
শেখ মহসীন/এসআর/এএসএম