সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাধারণ জনগণের আশ্বাসে কাঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচনই সুখকর ছিল না। তবে এবার নির্বাচন কমিশনও আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। এজন্য নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেমন থাকবে সেটাই ভাবনার বিষয়। তবে আমি ভোটারদের উৎসাহিত করাসহ রাতদিন ভোট প্রার্থনা করছি। জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
এ আসনে আওয়ামী লীগের ভোট দুই ভাগে ভাগ হবে দাবি করে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মণ্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল। কিন্তু এ নৌকা ডোবাতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। এতে বিপাকে পড়েছে নৌকার মাঝি। তবে এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হলেও জামায়াত-বিএনপির ভোট তিনিই পাবেন বলে মনে করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৪ সালে বিএনপির মনোনয়নে চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৯১ ও ১৯৯৬ মেয়াদে বিএনপির মনোনয়নে এ আসন থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মুহাম্মদ আনসার আলী সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি তার বাবার সুনাম ও এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির ফজলুল হক (লাঙ্গল), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) আব্দুল হাকিম (নোঙর) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নাজমুল হক (গামছা)। তবে নোঙর প্রতীকের আব্দুল হাকিম সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এম এ মালেক/এসআর/এএসএম