কুড়িগ্রামে গত চারদিন ধরে শীতের দাপট বেড়েই চলেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাহেবের আলগার চরের কৃষক বোরকান বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত। কাজে বের হলে হাত-পা হীম (বরফ) হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলেতো আমাগো চলবো না। যত কষ্টই হোক কাজে যাওন লাগে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন নৌকা ঘাটের মাঝি মোসলেম উদ্দিন জানান, শীতের কারণে দশ হাত দূরের কোনো কিছু দেখা যায় না। এ অবস্থায় নৌকা চালাতে অসুবিধা হয়। এক ঘণ্টা দূরত্বের নৌপথ যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। শীতে চলতে ফিরতে খুব সমস্যা।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর সম্ভবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় এরইমধ্যে নগদ অর্থসহ ৩৯ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে।
ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/এএসএম