ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অভিযোগ হামলাকারীরা সকলেই নৌকার সমর্থক।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন বোয়ালমারী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেরগাতী গ্রামের আফসার মোল্যার ছেলে এরশাদ মোল্যা (৩২) ও উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে ইমরান মোল্যা (৩০) এবং দিঘীরপাড় গ্রামের পান্না কাজীর ছেলে তামিম কাজী (১৯)।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ঈগল প্রতীকের সমর্থক এরশাদ মোল্যা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর সদরের একটি হোটেলে নাস্তা করতে গেলে নৌকার সমর্থক আরিফ সেখানে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কিলঘুষি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে এরশাদ মারাত্মকভাবে আহত হন। তার মুখমণ্ডলে রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন তিনি।
আহত এরশাদ বলেন, ইতোপূর্বে নৌকার সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে কাজ করতে নিষেধ করেন। আমি তাদের কথা না শোনায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অন্যদিকে, একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামের কাশেম শরিফের বাড়িতে ঈগল প্রতীকের দুই সমর্থক তামিম কাজী ও ইমরান মোল্যা ভোট চাইতে যান। এসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক তারা মোল্যার ছেলে জিয়া মোল্যা (৪৫), বাশার মোল্যার ছেলে জাহিদ মোল্যা (৩৫), মশিউর (৩৪), বাবলুসহ (৩০) অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন মিলে তাদের দুজনকে বেধড়ক মারপিট করেন বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা তাদেরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/এনআইবি/এএসএম