আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মাদারীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী শাজাহান খান বলেন, ‘ভোটের যে পদ্ধতি কমিশন গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যারা ঢাকা থাকেন চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী তারাও এসেছেন। এমনকি বিদেশে থাকে তারাও চলে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। ভোট দেওয়ার একটা উৎসাহ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে।’
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে মাদারীপুর শহরের আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন শাজাহান খান।
শাজাহান খান আরও বলেন, ‘সারাদেশে ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এরমধ্যে ২৬৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শতকরা ৯০ শতাংশের মতো আসন আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে এমন সম্ভবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে কোথায় কোনো ধরনের নাশকতা না হয়। তারপরও এই নাশকতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নাশকতা হতেই পারে। নাশকতাকে প্রতিরোধ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে গোপানে কিছু নাশকতা হলেও এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র সারাদেশে রয়েছে, দু-একটি স্থানে সমস্যা হতেই পারে। তবে ভোটারদের অংশগ্রহণ ব্যাপক থাকলে সব প্রশ্নের মোকাবিলা করে নির্বাচনের কার্যক্রম চালানো যাবে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন এটা নিশ্চিত, কারণ অন্যবারের চেয়ে এবার নৌকার জোয়ার বেশি।’
মাদারীপুর-২ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য শাজাহান খান আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে মোট ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। সুতরাং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন হচ্ছে, কোনো প্রার্থীর এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগই নেই। যে প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভবনা কম, তারা হয়তো অভিযোগ তুলতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হচ্ছে এটা নিঃসন্দেহ বলা যায়, যে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন সবাই নির্বাচনে স্বাধীনভাবে প্রচার-প্রচারণা থেকে সবধরনের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করার সুযোগ পেয়েছে।’
মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের মোট ১৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/ কেএসকে/এএসএম