দেশজুড়ে

কিশোরগঞ্জে ৪টিতে নৌকার জয়, একটি করে স্বতন্ত্র ও লাঙ্গল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের ৪টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। ১টিতে স্বতন্ত্র এবং ১টিতে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর)এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বড় ভাইকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সৈয়দ জাকির নূর লিপি। তিনি নৌক প্রতীক নিয়ে ৭৬ হাজার ৭৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৯৮ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকাকে ডুবিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৯ হাজার ৪৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ)এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম)এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দলীয় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়য়হাব পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৫ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৪ (নিকলী-বাজিতপুর)এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে টানা চতুর্থবারের জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল। তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর)এ আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছেলে বিসিবি সভাপতি নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের রুবেল তিন হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন।

জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে এবার ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ জন। তার মধ্য নারী ভোটার সংখ্যা ১২ লাখ ৪০ হাজার ২৫৫ জন ও পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৪ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার রয়েছেন ১৬ জন।

এ ৬টি আসনে মোট ৪৩ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ৫ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ৫ জনসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৩৩ জন প্রার্থী এবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।

জেলার ৬টি আসনে ৮৯৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৩০৬টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।

এসকে রাসেল/এমআইএইচএস/জিকেএস