দেশজুড়ে

ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড

উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত ঈশ্বরদীর জনজীবন। বেলা ১১টা পেরিয়ে গেলেও এখনো দেখা নেই সূর্যের। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এ উপজেলায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে এটি ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল হক রঞ্জন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদীতে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একদিনের ব্যবধানে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।

সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত ঈশ্বরদীর স্টেশন রোড, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে গরম কাপড়ের জন্য হকার মার্কেটগুলোতে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়।

এদিকে, উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ২০০ শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

শহরের স্টেশন রোডের রিকশাচালক আব্দুল হামিদ বলেন, কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে স্টেশনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। সড়কে যাত্রী সমাগম অন্য দিনের তুলনায় কম।

দিনমজুর আক্কাস আলী জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য বছর এসময় বহু মানুষ কম্বল বিতরণ করে। এবার কেউ একটি কম্বলও দেয়নি না। শীতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কাজেও বের হতে পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় কম। মাত্র চার হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে তিন হাজার ২০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর কিছু কম্বল রয়েছে এগুলো উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিতরণ করা হবে।

শেখ মহসীন/এনআইবি/এমএস