শরীয়তপুরের ডামুড্যায় গম খাওয়ার অপরাধে বিষ প্রয়োগ করে অন্তত দুই শতাধিক ঘুঘু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান মাদবর নামের সাবেক এক ইউপি মেম্বার ও জমির মালিকের বিরুদ্ধে। পাখিগুলোকে মেরেই ক্ষান্ত হননি তিনি, সুতায় বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন ওই জমিতেই। তার এমন অমানবিক কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্যসিড্যা এলাকায় শাহজাহান মাদবরের জমিতে এসব পাখি মরে থাকতে দেখা যায়।
কৃষক শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার ও মকিম বক্স মাদবরের ছেলে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহজাহান মাদবর তার জমিতে গম বপন করেছিলেন। বীজ গমগুলো যাতে পাখিতে না খেতে পারে সেজন্য জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন তিনি। বিষ দেওয়া ওই গম খেয়ে গত তিনদিনে দুই শতাধিক ঘুঘু মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি সুতা দিয়ে বেঁধে জমিতে ঝুলিয়ে রাখেন ও বাকি পাখিগুলোকে বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দেন শাহজাহান মাদবর।
গোলাম মোস্তফা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যিনি এমন অমানবিক কাজ করেছেন তার শাস্তি হওয়া উচিত।
বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করলেও মরা পাখি জমিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাহজাহান মাদবর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কেউ আমার সঙ্গে শত্রুতা করে পাখিগুলোকে মেরে আমার জমিতে ফেলে রেখেছে। আমি মরা পাখিগুলোকে সুতা দিয়ে জমিতে বেঁধে রেখেছি যাতে অন্য পাখি ভয়ে না আসে। এই একটা জিনিসই আমি ভুল করেছি।’
এ বিষয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী জিল্লু জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তবে শাহজাহান মাদবর বলেছেন, তিনি নাকি পাখিগুলো মারেননি। আমি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশ্বের আলম জাগো নিউজকে বলেন, এমন একটি খবর পেয়েছি। এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস