দেশজুড়ে

শপথ নিয়েই বেইলি ব্রিজ দখলমুক্ত করলেন এমপি এ কে আজাদ

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ও নিউমার্কেটের সংযোগ স্থাপনকারী কুমার নদীর উপরের বেইলি ব্রিজটি দখলমুক্ত করে চাঁদাবাজি বন্ধ করলেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।

জানা গেছে, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনী ইশতিহারে এ জেলাকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তিনি এমপি হওয়ার পর শপথ নিয়ে এলাকায় ফেরার পরই ওই বেইলি ব্রিজ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। ফলে ব্রিজটি মানুষের চলাচলের জন্য নির্বিঘ্ন হয়েছে। লোহার ব্রিজ নামে পরিচিত এই বেইলি ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ কুমার নদী পারাপার হয়।

জেলা শহরের বাইরে থেকে আসা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, হাজার হাজার মানুষ শহরের প্রবেশ মুখে নেমে শরীয়তুল্লাহ বাজার হয়ে পায়ে হেঁটে নিউ মার্কেট, চকবাজার, থানার মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়ে। শুধুমাত্র হেঁটে চলার জন্য ব্রিজটি কয়েক যুগ আগে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত প্রায় চার বছর ধরে ব্রিজের এপাশ ওপাশ ও ব্রিজের উপর অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের কাছে জিম্মি হয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল চরম বিঘ্নিত হতো।

স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র এই সরু ব্রিজটির এপাশ, ওপাশ ও ব্রিজের ওপর হকারদের বসিয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করতো। এ ব্রিজ দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই নাজেহাল হতে হতো সাধারণ পথচারীদের। ছিনতাই, পকেটমারসহ ছোটখাটো অঘটন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বিশেষ করে নারীদের জন্য এই বেইলি ব্রিজ ছিল খুবই অনিরাপদ। ভিড়ের সুযোগে যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটতো। গত তিনদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বেইলি ব্রিজটি সম্পূর্ণ মুক্ত করে দিয়েছে প্রশাসন। ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি ও সাচ্ছন্দ্যে নদী পার হচ্ছেন।

ব্রিজটি দিয়ে পারাপারের সময় একাধিক পথচারী বলেন, প্রায় চার বছর ধরে হকার ও দুষ্কৃতকারীদের দখলে ছিল ব্রিজটি। চলাচলে ছিল মারাত্মক ঝুঁকি। এখন চলাচলের পরিবেশ খুব ভালো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের সময় প্রচার-প্রচারণায় ফরিদপুর শহরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করার অঙ্গীকার ছিল। এমপি হওয়ার পর প্রথমেই সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বেইলি ব্রিজটি থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। ফরিদপুর শহরের যেসব স্থানে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের কারণে জনগণের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অভিযোগ পেলে সেখানেও অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস