জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হামলার শিকার ও প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যমুনা সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) ও শ্রমিক লীগের আঞ্চলিক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর সেতুলী বেম্বো গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মোয়াজ্জেম হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের পক্ষে কাজ করায় প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের লোকজন ক্ষিপ্ত হন।
গত ৯ জানুয়ারি সকাল পৌনে ১০টার দিকে কর্মস্থল যমুনা সার কারখানা থেকে বের হয়ে কলোনির গেট পর্যন্ত গেলে ট্রাক প্রতীকের সমর্থক ১০-১৫ জন তার ওপর হামলা করে। বর্তমানে তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের হুমকির জন্য প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং বাড়ি ও কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের পরপরই সংঘবদ্ধ চক্র আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ও কেপিআই-১ মানের যমুনা সার কারখানায় টেন্ডারবাজি, ট্রাক মালিক সমিতি নিয়ন্ত্রণ, সার কেলেঙ্কারি ও পরিবহন চাঁদাবাজিসহ নানা অন্যায়-অপকর্ম শুরু করেছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এবং নৌকার পক্ষে কাজ করায় তিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ী পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, পোগলদিঘা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক লালন, মহাদান ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন, ডোয়াইল ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কামরাবাদ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রাশেদুর রহমান হিরা ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খান বিপুল প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বিজয়ী প্রার্থী আবদুর রশীদের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, উনি যে অভিযোগটা দিয়েছেন সেটি আমরা জিডি আকারে গ্রহণ করে প্রসিকিউশনের জন্য কোর্টে পাঠিয়েছি। কোর্ট থেকে অনুমোদন এলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মো. নাসিম উদ্দিন/এফএ/জেআইএম