দেশজুড়ে

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

পাবনার ঈশ্বরদীতে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারাদিনে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সারাদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। হিমেল বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষকে বেশি দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ইয়ার্ডে মালবাহী ট্রেন থেকে মালামাল নামানোর কাজ করেন দিনমজুর আমিরুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে জানান, পুরো স্টেশন জুড়ে হিমশীতল ঠান্ডা। এ জংশন স্টেশনে রেলের ১৬টি রেল লাইন রয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ে ফুটওভার ব্রীজ সবই লোহার তৈরি। তাই স্টেশন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি। এখানে মালবাহী ট্রেনের মালামাল খালাস কাজে এসে শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছি। তবুও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।

রেল স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ফেরি করে চা বিক্রি করেন আসিনুর রহমান। তিনি বলেন, তিন দিন শীতের তীব্রতা খুবই বেশি। বিকেল হলেই স্টেশন ও এর আশেপাশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আড্ডা দিতো তাদের কাছে বেশি চা বিক্রি হতো। শীতের তীব্রতার কারণে কোন লোকজন আর আড্ডা দিতে আসে না। তা বেচাকেনা কমে গেছে।

এদিকে রেলওয়ে সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। মার্কেটের ব্যবসায়ী শেখ বেলাল বলেন, শীতের কারণে তিনদিন ধরে বেচাকেনা বেড়েছে। এ মার্কেটে শীতের পুরাতন কাপড়ের বেচাকেনা বেশি হয়। পাশাপাশি নতুন পোশাকও বিক্রি হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমল হক রঞ্জন জাগো নিউজকে বলেন, গত তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকবে। যদি কুয়াশা না থাকে তাহলেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

শেখ মহসীন/এনআইবি/জেআইএম