পঞ্চগড়ে সরকারি জমিতে ঘর তোলায় বাধা দিতে গেলে উপজেলা ভূমি অফিসের গাড়িচালক ইমরান বাদশাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাতেই দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাতে সোনাহার-দেবীগঞ্জ সড়ক ঘেঁষে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে টিন দিয়ে তিনটি দোকান ঘর তৈরি করা হয়। আরও পাঁচটি দোকানের জন্য সিমেন্টের খুঁটি পুতে রাখা হয়। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন, নাজির সুমন আলী, প্রসেস সার্ভেয়ার লতিফুর কবির, অফিস সহায়ক আনছার আলী ও গাড়িচালক ইমরান বাদশা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দখলকারীরা দলবদ্ধ হয়ে ভূমি অফিসের লোকজনকে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে মারতে আসে। অবস্থা বুঝে ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে থানা পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরমধ্যে কয়েকজন গাড়িচালক ইমরান বাদশাকে মারধর করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দখলকারীরা পালিয়ে যান।
মারধরের শিকার ইমরান বাদশা বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর এক ছেলে বলে ওঠে- ‘এটা কি ইউএনওর বাবার জমি, বেটারা বাড়ে গেছে’। আমি প্রতিবাদ করলে কয়েকজন মারতে শুরু করেন। আমি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েছি।
দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় কয়েকজন আমাদের বাধা দিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের গাড়িচালক ইমরান বাদশাকে মারধর করেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুল আলম বলেন, খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে ভূমি অফিসের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। পরে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে তারা আমাদের একজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, সরকারি জমি দখল নিয়ে মারধরের অভিযোগে একটি এজাহার পেয়েছি। অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
সফিকুল আলম/আরএইচ/এএসএম