দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে দুর্ভোগে শিশু শিক্ষার্থীরা

হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। বিশেষ করে শীতের তীব্রতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুলগামী শিশু ও অভিভাবকরা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের অবস্থা নাজেহাল। কনকনে শীতেও স্কুল খোলা থাকায় কাকডাকা ভোরে উঠতে হয় অভিভাবকদের। এরপর শিশুদের প্রস্তুত করে ঘন কুয়াশার মধ্যেই স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ নানান শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় শিশুদের কথা বিবেচনায় স্কুল ছুটির দাবি অভিভাবকদের।

পঞ্চগড় অনির্বাণ বিদ্যানিকেতনের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক খালিদ জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘনকুয়াশায় আমাদের অবস্থাও খারাপ। কিন্তু স্কুল খোলা থাকায় প্রতিদিন আমার বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে আসতে হয়। এতে শিশুদের অনেক কষ্ট হয়। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

বুধবার সকালে জেলার ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ৬২ রোগী। যাদের বেশিরভাগই ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ২২ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে নিয়মিত ভর্তি থাকছে তিন থেকে পাঁচগুণ রোগী। ওয়ার্ডে স্থান জায়গার অভাবে বারান্দায় গাদাগাদি করে শিশু রোগীদের নিয়ে থাকছেন অভিভাবকরা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজিউর রহমান রাজু বলেন, বর্তমানে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু হাসপাতালে আসছে। আমরা যাদের ভর্তির প্রয়োজন তাদের ভর্তি করাই। আমরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কুয়াশা আর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে কয়েকদিন ধরে ঠিকমতো সূর্যের দেখা মেলে না। এই পরিস্থিতি আরও দু-তিনদিন থাকতে পারে।

সফিকুল আলম/এনআইবি/এমএস