দেশজুড়ে

এমপিকে বরণ করা নিয়ে আ’লীগের দু’গ্রুপের মারামারি

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুকে ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আহতরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারী মনির, চরশাহী ইউনিয়নের রুবেল, দিঘলীর ইস্রাফিল। আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা যুবলীগ নেতা রিয়াজের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বাবুল আনসারীর সমর্থকদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এর আগে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে এমপি পিংকুর সামনেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দলীয় সূত্র জানায়, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপিকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়া নিয়ে বাবুল আনসারী ও রিয়াজের অনুসারীরা মারমারিতে জড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় সংক্ষিপ্তভাবে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়। পরে দুই গ্রুপের লোকজন বসুরহাট বাজার এলাকায় গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, এমপির হাতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে কি হয়েছে আমি জানি না।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে। তিনজন আহত হয়েছেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এমপিকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আগে থেকেই দলীয় গ্রুপিং রয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

এ বিষয়ে গোলাম ফারুক পিংকু এমপি জাগো নিউজকে বলেন, সেখানে স্থানীয় নেতারা একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারে না। দলীয় কোন্দল নিরসনের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের বলা হয়েছে। আমি নামাজে যাওয়ার পর বিশৃঙ্খলা হয়েছে।

কাজল কায়েস/এনআইবি/জেআইএম