দেশজুড়ে

এবার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে মাঘের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা দুদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গরম কাপড়েও কনকনে ঠান্ডাকে লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে চলতে থাকে ঠান্ডার দাপট।

প্রচণ্ড শীতে বাইরে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফিরছে মানুষ। শীতার্ত মানুষ শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সকালে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে ৭০ হাজার ৬৫০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আড়াইশো সোয়েটার বিতরণ করা হয়েছে। এই শীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে না আসায় শীতার্তদের চাপে রয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের আনাম রাজু বলেন, গত সপ্তাহ ধরে কনকনে ঠান্ডায় কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কুড়িগ্রামের মানুষ গত ১০ বছরে এমন ঠান্ডা ও শীত দেখেনাই।

রিকশাচালক মো. আব্দুল হাই বলেন, দিনভর কুয়াশা ও শীতল বাতাসে রিকশা চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আয় কমেছে। আগে রাত ১২টা পর্যন্ত রিকশা চালাতাম, এখন ৯টার মধ্যে বাড়ি ফিরি। কী করবো, এত ঠান্ডায় কি আর বাইরে থাকা যায়?

রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জিকেএস