পঞ্চগড়ে তীব্র শীতের কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনদিন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও জানেন না শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেক স্কুল খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুলে এসে আবার ফেরত যায়।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড় শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। শীত মৌসুমের শীতলতম মাস জানুয়ারির শুরু থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। কনকনে শীতের কারণে জেলায় মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে দুদিন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সোমবার রাতেই বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠদান বন্ধের বিষয়টি জানতে পারলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জানানো হয় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে। এজন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সময়মতো শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হতে দেখা যায়। সকালে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতি এবং দিবা শাখার শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত হয়ে সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) ও দৈনিক শ্রেণি হাজিরার পর আবার ফিরে যেতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীর সুমাইয়া আলভী বলে, ‘স্কুল ছুটির বিষয়টি আমরা আগে জানতে পারিনি। এজন্য স্কুলে আসি। পরে স্যার বলার পর আমরা বাড়ি ফিরে যাই।’
কথা হয় পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা সকাল ৯টার দিকে মেসেজ পেয়েছি। এরপর স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের দৈনিক হাজিরা নিয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রভাতি এবং দিবা শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নতুন বই পায়নি, তারা স্কুলে আসায় তাদের নতুন বই দিয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে আসায় এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গল ও বুধবার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসময়ে অফিস খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমকি শিক্ষা অফিসার সাইফুল মালেক বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শীতের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঠদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস থেকে জানতে পারি যে, জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে।
সফিকুল আলম/এসআর/এমএস