৮ দিনের চেষ্টার পর উদ্ধার হলো মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ফেরিটিকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। এর আগে ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকই উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটের আধা কিলোমিটার দূরে ফেরিটি রাখা হয়েছে। ফেরির ভেতরে লন্ডভন্ড অবস্থা। স্টাফদের আসবাবপত্র ও ক্যান্টিনের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ফেরির স্টাফরা ধুয়েমুছে ফেরিটি পরিষ্কার করছে। ছোট খাটো ওয়েলডিংয়ের কাজও করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক শাহজাহান জানান, টানা আট দিনের চেষ্টার পর ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন ফেরিটিকে বিআইডব্লিউটিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে। ডকইয়ার্ডে নিয়ে মেরামত করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে বিআইডব্লিউটিসি।
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সমন্বয়ক লেফ. শাহ পরাণ ইমন জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। শীত ও প্রচণ্ড স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বেশ কয়েজন ডুবুরি সদস্য আহতও হয়েছেন। তারপরও সফলভাবে ফেরি, যানবাহন এবং নিখোঁজ হুমায়ূন কবীরকে উদ্ধার করা গেছে। এজন্য সবাই গত ক’দিনের কষ্ট ভুলে গেছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে ৯টি ট্রাক নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ইউটিলিটি ফেরিডুবির ঘটনা ঘটে। ফেরিতে কোনো যাত্রীবাহী বাস ছিল না। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। নিখোঁজ থাকেন রজনীগন্ধা ফেরির সেকেন্ড অফিসার হুমায়ুন কবীর। ৫ দিন পর দুর্ঘটনাস্থলের ৬ কিলোমিটার দূরে মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়।
বি.এম খোরশেদ/এফএ/জিকেএস