দেশজুড়ে

সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে

নতুন নির্বাচিত সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যারা এটি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডিসেম্বরের পর চালের দাম বেড়ে গেছে। এটি উত্তরাঞ্চলের মিলগুলো থেকে করা হয়েছে। মিল মালিকরা বলতে চাচ্ছেন ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এটি করেছেন। তবে ধানের দাম বাড়লেও সেই ধানের চাল বাজারে আসার কথা বৈশাখ মাসে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র এর আগেই দাম বাড়িয়েছে। এখন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তা তিন মাস আগের চাল।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ঝালকাঠিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ সময় তিনি শহরের বড় বাজার ও কাঠপট্টি এলাকায় কয়েকটি চাল এবং ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দোকান মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, রোজায় সাধারণত কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এজন্য চাল, ডাল, তেল, ছোলা, চিনি, খেজুরের পর্যাপ্ত মজুত রাখা হয়েছে। এসব পণ্য যাতে কেউ মজুত করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এজন্য অভিযানের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা খুচরা বাজার থেকে তথ্য নিয়ে মূল জায়গায় ব্যবস্থা নিতে চাই।

অভিযান শেষে জেলার চেম্বার অফ কমার্সের সভাকক্ষে চাল, ভোজ্যতেল ও প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।

মো. আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম