ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাগেজ থেকে উদ্ধার মাথা ও দুই পা বিহীন তরুণীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি গত দুদিনেও। মরদেহটি উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির পৃথক দুটি দল। মরদেহের পরিচয়, খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘মরদেহের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে ভেজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লাগেজে মিললো মাথা-পা বিচ্ছিন্ন তরুণীর মরদেহ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ খণ্ডিত করতে প্রথমে দা ও পরে ধারালো মেশিন জাতীয় কিছু ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ একটি পা কাটা অংশের হাড় কিছুটা আঁকাবাঁকা আছে। তবে আরেকটি পা এবং গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা অংশের হাড় সমান, নিখুঁতভাবে কাটা।’
লাল একটি লাগেজে মাথা ও দুই পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে এক যুবককে লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবককে কেউ চিনতে পারেননি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত খণ্ডিত মরদেহটির পরিচয় মেলেনি। এর খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি লাল লাগেজে মাথা-দুই পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম