জাতীয়

হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইইউ`র সহায়তা আহবান

হাসপতালগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা কামনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত তিয়েরে মায়াদন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই সহযোগিতার আহবান জানান।এছাড়া তিনি দেশের ঔষধ শিল্পের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নির্মিত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরীর সাথে সংশ্লিষ্টদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়ার অনুরোধ জানান।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হাসপাতালগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকার আগ্রহী। তবে এক্ষেত্রে উন্নত ও দক্ষ প্রযুক্তির প্রয়োজন বলে উন্নয়ন সহযোগিদের সাহায্য প্রয়োজন। একটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এগিয়ে আসলে বাংলাদেশের পক্ষে পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার কাজটি সহজ হবে।তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ গত ছয় বছরে ব্যাপক উন্নতি সাধন করলেও একটি উন্নত ও আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরও অনেক কাজ করতে হবে। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের সহ্রাব্দ লক্ষমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে এই দেশের স্বাস্থ্য সেবা আজ বিশ্বে প্রশংসিত।বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ঔষধের মান আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ঔষধ ৮৭ দেশে রপ্তানী হচ্ছে। ঔষধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সরকার দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরী স্থাপন করেছে। এই ল্যাবরেটরী সুষ্ঠু ও দক্ষভাবে চালানোর জন্য প্রচুরসংখ্যক মান নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষক প্রয়োজন।স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন অভাবনীয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন।এ সময় তিয়েরে মায়াদন বাংলাদেশের হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কাজে এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরীর জন্য দক্ষ জনবল তৈরীতে প্রশিক্ষণ সহায়তা দানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর অনুরোধ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হাফিন মুফতুগলু সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে তুরস্ক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দশটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছে। আগামী জানুয়ারীতে ক্লিনিকগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে।এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।