হারলেই বাদ। জিতলে টিকে থাকবে ফাইনালের দৌড়ে। বাঁচামরার ম্যাচে দুই দলের লড়াইটা যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমনটা হলো না। মিরপুর শেরে বাংলায় বিপিএলে আজ (সোমবার) একপেশে এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেট আর ৩১ বল হাতে রেখে হারিয়ে বিদায় করেছে ফরচুন বরিশাল।
Advertisement
বরিশালের লক্ষ্য ছিল ১৩৬ রানের। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার (০)। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে শুভাগত তাকে বানান উইকেটরক্ষকের ক্যাচ।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল আর কাইল মায়ার্স ৫৪ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ অনেকটাই বের করে নেন।
২৫ বলে ফিফটি করেন মায়ার্স। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তো শুভাগতহোমকে ৩ ছক্কা আর ২ চার হাঁকিয়ে তুলে নেন ২৬ রান। শেষ পর্যন্ত মায়ার্স-ঝড় থামান বিলাল খান। ২৬ বলে মায়ার্সের ৫০ রানের ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ৫টি ছক্কার মার।
Advertisement
দলে যোগ দেওয়া ডেভিড মিলার শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে ১৩ বলে ১৭ করে শেফার্ডের শিকার হতে হয় তাকে। তামিম ফিফটি করেন ৪১ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বরিশাল অধিনায়ক।
এর আগে সাইফউদ্দিন-তাইজুল-মায়ার্সদের বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৩৫ রানেই আটকে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে চট্টগ্রামকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ তামিমকে (২) উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান সাইফউদ্দিন। এরপর ইমরানুজ্জামান ১৩ বলে ৭ করে সাজঘরে ফেরেন।
ওপেনার জশ ব্রাউন চালিয়ে খেলে দলের রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ২২ বলে ৩৪ করে তিনি আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। টম ব্রুস ১১ বলে ১৭, সৈকত আলি ১৪ বলে ১১ করে সাজঘরে ফেরেন।
Advertisement
শুভাগতহোম কিছুটা সময় হাল ধরলেও ১৬ বলে ২৪ রানে থামতে হয় তাকেও। পরের ব্যাটাররা আর বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
বরিশালের কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর ওবেদ ম্যাকয় নেন দুটি করে উইকেট।
এমএমআর/এমআইএইচএস