নড়াইল সদর উপজেলায় একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি উপেক্ষা করে মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা সদর থেকে নির্বাচনী এলাকা দূরে হওয়ায় বিভিন্ন প্রার্থী এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন।সরেজমিন মুলিয়া, তুলারামপুর, মাইজপাড়া, শাহাবাদ, হবখালি, চন্ডিবরপুর, আউড়িয়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টা বাজার আগেই এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং বেশির ভাগ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত ভ্যানে দুইটি করে মাইকের চোং বেঁধে প্রার্থীর পক্ষে রেকডিং করা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।তুলারামপুর ইউনিয়নের ছলেমান মোল্যা নামের এক প্রচার কর্মী জানান, ২টার আগে মাইকে প্রচারণা না চালানোর বিধি তার জানা ছিল না। একই দিন ১২ টায় মাইজপাড়া ইউনিয়নের তাড়াশি-মাগুরা এলাকায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে প্রচারণা চালানো হয়। দুপুর ১টার দিকে শাহাবাদ ইউনিয়নে আতশপাড়া, ধোন্দা এলাকায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মাইকে প্রচারণা চালিয়ে যায়। প্রচারণা চালানোর সময় কথা হয় ওই প্রচারকারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ১১ টা থেকে আমরা প্রতিদিন তিনটি মাইকে প্রচারণা চালায়। জানতে চাইলে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী দাবি করেন, দুপুরের পরেই তাঁর প্রচারণার মাইক বের করা হয়। দলজিৎপুর গ্রামের মোবাইল ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার মধ্যেই নির্বাচনী মাইক বের করা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, মাইকের উচ্চ শব্দে কোচিং ও সাধারণ ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে।এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এটিএম শামীম মাহামুদ জানান, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচারণার জন্য মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে পুলিশকে মাইক আটকের জন্য অনুরোধ করবেন। সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবাস কুমার বিশ্বাস বলেন, ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাফিজুল নিলু/এসএস/পিআর