দেশজুড়ে

স্বাদের লাউ ১৫ টাকা জোড়া

‘স্বাদের লাউ মাত্র ১০ টাকা। জোড়া ১৫ টাকা। নরম ও তুলতুলে লাউ বাড়ি নিয়ে গেলে সবাই খুশি হবে’—হাটে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কথাগুলো বলছিলেন লাউ বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি আর বলছিলেন, ‘এমন সুযোগ আর পাবেন না। এতো কম দামে আর লাউ জুটবে না।’ শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা হাটে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সবজিবিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আজকের বাজারে সবচেয়ে কম দামি সবজি লাউ ও বেগুন। ১৫০ পিস লাউ এনেছি। রমজান শুরুর পর থেকেই লাউয়ের কদর কমেছে। রমজানের আগে প্রতিপিস লাউ ৩০-৫০ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে। এখন ১০ টাকা পিস লাউ কেউ নিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে এক পিস ১০ টাকা আর এক জোড়া ১৫ টাকায় বিক্রি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে সবজির চাহিদা কমে যায়। পাশাপাশি অন্য বছরের তুলনায় এবার লাউয়ের উৎপাদনও বেশি। তাই লাউ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের লাউ চাষি তুহিন হোসেন বলেন, বাজারে ২৫ পিস লাউ এনেছিলাম। যাতায়াত ভাড়া বাদ দিলে আমার কিছুই থাকবে না। প্রতিপিস লাউ ১০ টাকা করে বিক্রি করেছি।’

তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে লাউ বিক্রি করে লাভ হয়েছে। কিন্তু লাউয়ের বাজার এখন এতটা কমে যাবে ভাবতে পারিনি।

১৫ টাকা দিয়ে একজোড়া লাউ কিনেছেন মিরকামারী গ্রামের আলী আজগর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে প্রচুর লাউ উঠেছে। লাউ বেশ নরম ও তুলতুলে। তাই দাম দর করে ১৫ টাকা দিয়ে একজোড়া লাউ নিলাম।’

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, এবার উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে। এখন লাউসহ অন্যান্য সবজির সরবরাহ বেশি। তুলনামূলক চাহিদা কম থাকায় দাম কমে গেছে। তবে শীতের শুরুতে চাষিরা খুব লাভ দাম পেয়েছেন।

শেখ মহসীন/এসআর/এএসএম