ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্কুলছাত্র আদেল হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার মালিগ্রাম গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে সিকিম আলী ও সদরপুর উপজেলার চরমানাইর গ্রামের মালেক মাতুব্বরের ছেলে আকরাম মাতুব্বর। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার চরদুয়াইর জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আদেল উদ্দিন ওরফে আরিফ পাশের বাজারের দোকানে টেলিভিশন দেখতে যায়। রাতে আর ফিরে না আশায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবারের সদস্যরা। পরদিন ভাঙ্গা থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের আটদিন পর ব্রাহ্মণপাড়া বাওড়ের গম ক্ষেতের মধ্যে আরিফের মস্তকবিহীন ও দুই হাত বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বাবা খালেক সরদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের পিপি মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে। আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত চার আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া মামলায় অপর দুই আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস