জাতীয়

সুপার শপে, দোকানে বিদেশি সিগারেট বিক্রি বন্ধ চায় এনবিআর

বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার শপ, শপিংমল ও সাধারণ মুদি দোকানে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রি বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিভিন্ন দোকান ও সুপার শপে বিদেশি সিগারেট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধি বিধান না মেনে আনা ওই সব সিগারেট বাজারজাতকরণের ফলে আইন ভঙ্গের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকার তার কাঙ্খিত রাজস্ব হারাচ্ছে; যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করছে।

এতে আরও বলা হয়, আমদানি নীতি আদেশ: ২০১১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(১০) মোতাবেক সিগারেট আমদানির বিধান নিম্নরূপ: “আমদানিযোগ্য সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ “ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে, তবে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউস কর্তৃক সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে উক্তরূপ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় মুদ্রণ করা যাবে।

এছাড়া কাস্টমস আইনের ধারা-২(এস) এ কি কি কার্যক্রম চোরাচালান হিসাবে বিবেচিত হবে তার সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কাস্টমস আইন এবং আমদানি নীতি আদেশে উল্লিখিত বিধি বিধান লঙ্ঘন করে বিদেশি সিগারেট আমদানি/উৎপাদন/সরবরাহ/বাজারজাত/বিক্রয় করা চোরাচালান হিসেবে গণ্য এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং তদাধীন এস.আর অনুযায়ী ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরি, মজুদ, সরবরাহ বিক্রি ও ব্যবহারও দন্ডনীয় অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, আমদানিকারক উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী/ব্যবসায়ীদেরকে দেশের প্রচলিত আইন পরিপালন ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি/উৎপাদন/সরবরাহ/বাজারজাত/বিক্রয় না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তকরণসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএম/এসআইটি/জিকেএস