দেশজুড়ে

অসহায় ২০ পরিবারকে অনুদান, ৩৫০ প্রবীণ পেলেন ঈদ উপহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামের মো. আলামিন। পেশায় ছিলেন রিকশা চালক। কিছুদিন আগে ব্রেইন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারণে আয় না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তার পরিবার। বিষয়টি জানতে পেরে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় 'বাউনবাইরার কতা'। তার এ দুর্দিনে একটি টং দোকান নির্মাণ করে যাবতীয় মালমাল কিনে দেয় ফেসবুক ভিত্তিক এ সংগঠন।

১৪ বছরের কিশোর সাজন মিয়ার বাবা মাহফুজ মিয়া ছিলেন একজন রিকশাচালক। কিছুদিন আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। ছোট পাঁচটি বোন ও মাকে নিয়ে অভাবের সংসার। থাকেন অন্যের জায়গায় অস্থায়ী একটি ঘরে। সাজন একটি কারখানায় কঠিন পরিশ্রম করে যে টাকা বেতন পান তাতে কোনোমতে সাতজনের সদস্য নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করেন। এ অবস্থায় পাশে দাঁড়ায় ‘বাউনবাইরার কতা’। পরিবারের এ কষ্টের কথা জানার পর তাকে তিনটি বাচ্চাসহ একটি মা ছাগল দেয় সংগঠনটি।

গত ৭ বছরে সাধারণ মানুষের জাকাতের টাকায় এভাবে হতদরিদ্রের স্বাবলম্বী ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ২০ পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে অনুদান দেওয়া হয়েছে। ৩৫০ প্রবীণকে ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের মাঝে মালামালের রেপ্লিকা ও প্রবীণদের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শান্তনু চৌধুরী।

বাউনবাইরা কতার এডমিন ডা. মাহবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান গনি সজিব, প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মনির হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস