দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
বিশাল এ মাঠে নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নামাজ শুরুর সংকেত হিসেবে গুলি ছুড়ে আওয়াজ করা হয়। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি এবং এক মিনিট আগে একটি করে শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। আর এ গুলিগুলো ছোড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।
এবার শোলাকিয়ায় ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
এবারও আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাতা নিয়েও ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের একদিন আগেই চলে এসেছেন অনেক মুসল্লি। ঈদের দিন ভোর থেকেও রিজার্ভ বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসেন হাজারো মুসল্লি। নামাজ শুরুর এক ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।
নামাজকে কেন্দ্র করে ঈদগাহ ময়দানে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চারটি স্তরই পেরিয়ে মুসল্লিরা মায়দানের ভেতরে প্রবেশ করেন। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ৩৪টি চেকপোস্ট। সাদা পোশাকেও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে চারটি ড্রোন। ঈদগাসহ আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা। ঈদগায় রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। রয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।
এসকে রাসেল/এফএ/এমএস