দেশজুড়ে

সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো কুমির চিতলমারী থেকে উদ্ধার

সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো চারটি কুমিরের মধ্যে চিতলমারীর একটি পুকুর থেকে একটি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল। লবণ পানির কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি গবেষণার জন্য সুন্দর বনে চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে অবমুক্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, অবমুক্ত করা চারটি কুমিরের মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভেতরে ঘোরাঘুরি করলেও এ কুমিরটি সুন্দরবন থেকে বের হয়ে মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জের পানগুছি পিরোজপুরের কচা, শরণখোলার বলেস্বর নদী অতিক্রম করে মধুমতি নদী সংলগ্ন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার একটি পুকুর অবস্থান করছিল।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার মধুমতি নদী সংলগ্ন রাস্তায় কুমিরটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করে।

Advertisement

ওসি আরও জানান, বিষয়টি বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল কুমরটি উদ্ধার করে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ১৩ মার্চ সর্বপ্রথম দুটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছিল। এরপর গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে আরও একটি কুমিরের সঙ্গে এ কুমিরটিকেও অবমুক্ত করা হয় সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করেছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআইজেড)।

আরএইচ/এএসএম