খেলাধুলা

রনি-রিশাদকে টপকে শীর্ষ উইকেটশিকারি রুয়েল মিয়া

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রান সংগ্রহে শীর্ষে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন জাতীয় দলে খেলেছেন। প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের এই ব্যাটার লাল-সবুজের জার্সিতে ৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

Advertisement

কিন্তু এবারের লিগে সবাইকে চমকে দিয়ে যে তরুণ সর্বাধিক উইকেটশিকারি হয়েছেন হয়েছেন, সেই রুয়েল মিয়া কিন্তু কখনই জাতীয় দলের ধারেকাছেও যাননি। বাস্তবে গাজী গ্রুপের হয়ে খেলা তরুণ বাঁহাতি পেসার ১১ ম্যাচে ২৫ উইকেট দখল করে উইকেট শিকারে শীর্ষে অবস্থান করছেন। রুয়েল মিয়ার পর উইকেট শিকারে দ্বিতীয়স্থানে আছেন আরেক বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে আর ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলা রনি এবারের লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ২২ উইকেট দখল করেছেন।

রনির ঠিক পিছনেই আছেন তরুণ সম্ভাবনাময় লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের এই লেগির উইকেট সংখ্যা ১৯টি (৮ ম্যাচে)।

উইকেট শিকারে চতুর্থস্থানে আছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু। প্রাইম ব্যাংকের এই বাঁহাতি স্পিনার অপুর সমান ১৯ উইকেট পেয়েছেন সিটি ক্লাবের ইরফান হোসেন ও গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির মারুফ মৃধাও। মোট কথা- অপু, ইরফান ও মৃধা সবাই রিশাদের সমান ১৯ উইকেট পেয়েছেন। তবে ওভার পিছু রান খরচা ও গড় এবং ম্যাচ কম খেলে বেশি উইকেট পেয়ে রিশাদ বাকিদের ওপরে চলে গেছেন। আজ শুক্রবার শেরে বাংলায় শেষ দিন ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট দখল করে বড় লাফ দিয়ে উইকেট শিকারে উন্নতি ঘটেছে নাসুম আহমেদের। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এই বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম লিগে উইকেট দাঁড়িয়েছে ১৮ টি।

Advertisement

নাসুমের ঠিক পিছনে আছেন আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ও ব্রাদার্সের পেসার আবু জাইদ রাহি। তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ১৭ টি করে উইকেট। উইকেট প্রাপ্তিতে সেরা ১০ জনের মধ্যে সবার নিচে আছেন প্রাইম ব্যাংকের অফস্পিনার শেখ মেহদি। তার শিকার সংখ্যা ১৬টি।

দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত রুয়েল মিয়া, আবু হায়দার রনি আর রিশাদের মধ্যে কে হন সর্বাধিক উইকেট শিকারী ?

এআরবি/এমএইচ/এএসএম

Advertisement