খেলাধুলা

১০৬ বলে ৫৫ লিটনের, হৃদয়ের ২৭ বলে ৫৫ রানের ঝড়

যে দল প্রথম লিগে ১১ ম্যাচ টানা জিতেছে, সেই দুর্মনীয় আবাহনীর সাথে সোমবার সুপার লিগের প্রথম দিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৮ রানে অলআউট হলো প্রাইম ব্যাংক।

Advertisement

অধিনায়ক জাকির হাসান আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের একজন ব্যাটারও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। আবাহনীর দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৫ রানে প্রাইম ব্যাংকের ৩ টপ অর্ডার তামিম ইকবাল (১), পারভেজ হোসেন ইমন (০) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (৪) ফিরে যান।

তাসকিনের বলে পুল খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে আকাশে তুলে দেন তামিম। শরিফুলের বলের মুভমেন্ট বুঝতে না পেরে ফ্লিক খেলতে গিয়ে ক্যাচ জমা দেন পারভেজ ইমন ও শাহাদত হোসেন দিপু। তখন মনে হচ্ছিল, করুণ পরিনতির দিকে এগুচ্ছে প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিক আর অধিনায়ক জাকির হাসান চতুর্থ উইকেটে শক্ত হাতে হাল ধরেন।

ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে ইনিংসকে নতুন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করলেন মুশফিক ও জাকির। কিন্তু ১১২ রানের জুটি ভাঙার পর আবার শুরুর অবস্থা ফিরে আসলো। আবাহনী বাঁহাতি স্পিনার তানভীরের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ালেন মুশফিক (৬৫ বলে ৪৪)। এরই সঙ্গে শুরু হলো আবার বিপর্যয়।

Advertisement

এরপর অধিনায়ক জাকিরও আউট হন ৬৮ রানে (৭০ বলে)। তারপর কেবল আসা-যাওয়ার পালা। ১৭৮ রানে ইনিংস শেষ প্রাইম ব্যাংকের।

আবাহনী পেসার শরিফুল (৩/২৭), তাসকিন ( ২/৩৪) আর দুই স্পিনার তানভীর ( ২/৪৮) ও মোসাদ্দেক (২/৩৪) প্রাইম ব্যাংককে দুশোর নিচে বেঁধে ফেলেন।

সামনে জিম্বাবুয়ের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে ওয়ানডে সুপার লিগে এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও জাকের আলী অনিকরা কী করেন, সেটাই ছিল দেখার।

১৭৯ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে একদমই কষ্ট হয়নি আবাহনীর। ৫ উইকেট আর ৬৯ বল হাতে রেখেই জিতেছে আকাশি-হলুদরা।

Advertisement

ছুটি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই রান পেয়েছেন লিটন দাস। তবে ভিন্ন মেজাজে, একদম স্লথ গতিতে খেলে। টার্গেট ছোট, তাই রানের তাড়াও ছিল না। লিটন ১০৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ৫২.৮৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়ে।

লিটন একদিক আগলে রাখায় বাকিদের সামনে সুযোগ ছিল হাত খুলে খেলার। কিন্তু ওপেনার এনামুল হক বিজয় (২২), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (১২), বাঁহাতি আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪) আর মিডল অর্ডার জাকের আলী অনিক (১২) তা পারেননি।

তবে একজন ঠিক হাত খুলে খেলেছেন। তিনি তাওহিদ হৃদয় । মাত্র ২৭ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। ২০৩.৭০ স্ট্রাইকরেটের ওই ইনিংসের ৫০ রান এসেছে শুধু ছক্কা (৫টি) আর চার (৪টি) থেকে।

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম