ক্যাম্পাস

বাকৃবিতে কাসাভার চাষাবাদ বিষয়ক প্রদর্শনী

একই সঙ্গে অধিক ফলনশীল ও শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিকল্প শিমুল আলু (কাসাভা)। সাম্প্রতিক সময়ে এ আলু নিয়ে গবেষণা করে দেশীয় পদ্ধতিতে চাষ করে এটি থেকে চিপস, কেক, হালুয়া, রুটিসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারও তৈরি ও প্রদর্শনী করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী।

Advertisement

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে কৃষকদের মাঝে দেশীয় পদ্ধতিতে কাসাভার চাষাবাদ ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় কাসাভা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং এর ব্যবহার কৃষকদের মাঝে প্রদর্শন এবং বীজও বিতরণ করা হয়।

প্রদর্শনীতে ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শাহানারা বেগম, অধ্যাপক ড. একেএম আজাদ-উদ-দৌলা প্রধান, ময়মনসিংহের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইশতিয়াক হোসেনসহ ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক ছোলায়মান আলী বলেন, কাসাভা ও অরহর আফ্রিকার ফসল। এগুলো উচ্চ ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু অঞ্চলের মাটিতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভালো ফলন দিয়ে থাকে। এছাড়াও পাহাড়ের ঢাল, উঁচু জমি, ক্ষেতের আইল এমনকি পতিত জমিতেও কাসাভার ভালো ফলন পাওয়া যায়। শিমুল আলু বা কাসাভা চাষে ধানের মত জলাবদ্ধ পরিবেশের প্রয়োজন পড়ে না ।

Advertisement

কাসাভাকে ভাত ও আলুর বিকল্প বর্ণনা করতে গিয়ে অধ্যাপক বলেন, বাজারে চাল ও আলুর দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার একটি কারণ উৎপাদন খরচ। কাসাভা পতিত জমিতে আবাদ করা যায়। উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু হওয়ায় সেচের জন্য কৃষকের তেমন খরচ হয় না, রোগবালাইও হয় কম। তাই কাসাভা চাষে কৃষক অধিক লাভবান হতে পারবে। কাসাভা ভাত ও রুটির বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কাসাভার বিভিন্ন ব্যবহার নিয়ে অধ্যাপক ছোলায়মান আলী বলেন, ওষুধ শিল্প, বেকারি শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প, কাগজ শিল্প, টেস্টিং সল্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া কাসাভা থেকে আটা তৈরি করা যায়। এমনকি কাসাভা পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

আসিফ ইকবাল/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement