গত ৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তপ্ত দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ১৯৮৯ সালের পর এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৮৯ সালে বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুনযশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ডএদিন বিকেলে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৮৯ সালে বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪৩, ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পাবনার ঈশ্বরদীতে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়।
আরও পড়ুনবগুড়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডতবে একদিন আগে (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় চলতি মৌসুমের সবচেয়ে বেশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। ঢাকায় গত বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে প্রায় সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। প্রচণ্ড গরমে পাওয়া যাচ্ছে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবরও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুয়ায়ী, ১৯৭২ সালে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছরের (২০২৩ সাল) ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি ছিল ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে আগামী সপ্তাহে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমে যেতে পারে।
আরএমএম/এমকেআর/এএসএম