ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের পরিবারের নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবীর। ওয়াহিদুজ্জামান ওই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে প্রার্থীতা ফিরে পেতে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আপিল করেছেন বলে জানা গেছে।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ছয়জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক চারজন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় ওয়াহিদুজ্জামানকে নিয়মানুযায়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে ইয়াছিন কবীর জাগো নিউজকে জানান, ‘নির্বাচনের বিধিমালা অনুসারে আমরা সালথায় দুজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পাই। প্রাথমিক বাছাইয়ে পরিবারের সদস্যদের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকায় ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে তিনি জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাই নিয়মানুযায়ী আর কোন প্রার্থী না থাকায় ওয়াহিদুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি পত্র নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি ওয়াদুদ মাতুব্বর হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসলে সেটাও নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। আর যদি ওই প্রার্থীর কোনো কাগজপত্র না আসে তাহলে বেসরকারিভাবে যার নাম ঘোষণা করা হয়েছে সেটিই বহাল থাকবে।
ফরিদপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলার সকল ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনের সকল সরঞ্জামাদি প্রতিটি উপজেলায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এন কে বি নয়ন/এনআইবি/এএসএম