দেশজুড়ে

‘প্রেমঘটিত’ কারণে হতাশা, দুই বন্ধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রেমঘটিত কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে দুই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তারা দুজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পল্লব বাড়ৈ (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া পুলিশ। তার আগে সোমবার (১৩ মে) সকালে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র অশ্রু বিশ্বাস (২৪)।

পল্লব বাড়ৈ শিকির বাজার গ্রামের গণেশ বাড়ৈর ছেলে। অশ্রু বিশ্বাস ছিকটিবাড়ী গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পল্লব বাড়ৈ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র। বরিশালের একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ফোনে কথা বলতেন। হঠাৎ মেয়েটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পল্লব।

সোমবার ভোরে ঘরে তাকে না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে খুঁজতে বের হন পল্লবের পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পল্লব বাড়ৈর শার্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

এরআগে সোমবার পল্লব বাড়ৈর বন্ধু অশ্রু বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বন্ধুর মরদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে বাড়িতে আসার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন পল্লব।

কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, অশ্রু বিশ্বাস ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিলেন অশ্রু বিশ্বাস। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ করতেন তিনি। সোমবার সকালে নিজ কক্ষে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়েজ আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, পল্লব বাড়ৈ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। অশ্রু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

এনআইবি/এসআর/এএসএম