খেলাধুলা

ক্লিনিকে ওয়ার্ডবয়কে মারধরের অভিযোগ ক্রিকেটার আইচ মোল্লার বিরুদ্ধে

বন্ধুর পক্ষ নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের ওয়ার্ডবয়কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আলোচিত খেলোয়াড় আইচ মোল্লার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৫ মে) দুপুরে সিংগাইর ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ক্রিকেটার আইচ মোল্লা ও তার বন্ধু কাওসারের নেতৃত্বে কয়েকজন ওয়ার্ডবয় সাকিবকে বেধড়ক মারপিট করছে। এ সময় তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন নার্সসহ কয়েকজন। হামলায় দুই নার্স আহত হন।

ক্লিনিকের পরিচালক মনিরুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সিংগাইর উপজেলার আজিমপুর এলাকার মৃত সামসুল মীরের ছেলে মীর কাওছার, করম আলীর ছেলে মীর আবির, নূর মোল্লার ছেলে আইচ মোল্লাসহ ৪-৫ জন লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্লিনিকের ওয়ার্ডবয়কে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে লোহার পাইপ দিয়ে ওয়ার্ডবয় সাকিবকে মারধর করে।

তাদের কিল ঘুষি ও লাথিতে মারাত্মক আহত হন সাকিব। এ সময় তাকে উদ্ধারে নার্স অঞ্জনা, রেখা ও শামীম এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হন। পরে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ক্লিনিকের আরেক পরিচালক মোস্তাক আহমেদ জানান, এই ক্লিনিকের পরিচালক তিনজন। এর মধ্যে তিনি ও মনিরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও শান্ত হননি ক্রিকেটার আইচ মোল্লা ও তার বন্ধুরা। বন্ধু কাওছারের পক্ষ নিয়ে ওয়ার্ডবয়কে কিলঘুষি ও লাথি মারেন আইচ। সে আমাদের মানিকগঞ্জের গর্ব। তার কাছ থেকে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়।

তিনি আরও জানান, জনৈক এক সন্তান সম্ভাব্য নারীর চিকিৎসা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে ওয়ার্ডবয়ের সঙ্গে কাওছারের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই আইচ মোল্লা ও কাউছারের নেতৃত্বে ক্লিনিকে হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় অংশ নেওয়া ক্রিকেটার আইচ মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, কিভাবে কী হয়েছে, আমি বুঝতে পারছি না। তবে এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমার ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বি.এম খোরশেদ/এমএমআর/জিকেএস