খেলাধুলা

বাংলাদেশের সিরিজ হারের আসল কারণ খুঁজে বের করেছেন লিপু

প্রথম ম্যাচ হারার পরও গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছিলেন তিনি। ২২ মে’র কথোপকথনে হতাশা ব্যক্ত করা ছাড়া সে অর্থে তেমন কোনো মন্তব্য করেননি গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

Advertisement

তবে আজ (২৫ মে) বিশ্বকাপ স্কোয়াড বহালের ঘোষণার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ পরাজয় নিয়েও অনেক কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচক। এক কথায় যুক্তরাষ্ট্রর কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পোস্টমর্টেম করেছেন জাতীয় দলের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক। টিম বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও লিপু মনে করেন, দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জেতার মত অবস্থায় ছিল।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম খেলায় শেষ ৪ ওভারে ৫৫ রান ডিফেন্ড করতে পারেননি শরিফুল, মোস্তাফিজ ও সাকিবরা। বাংলাদেশের তিন ফ্রন্টলাইন বোলারকে ইচ্ছেমত চার ও ছক্কায় উড়িয়ে ৩ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান আমেরিকার দুই বাঁহাতি মিডল অর্ডার কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং।

অন্যদিকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাতে ৫ উইকেট থাকার পরও শেষ ১৮ বলে ২১ রান নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেনরা।

Advertisement

সেই ২ ম্যাচের চালচিত্র ব্যাখ্যা করে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম, কেউই সেই আকাঙ্ক্ষিত ফর্মে নেই। এটা দুঃখজনক। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও করতে পারছি না। সেটাকে হতাশাজনকই বলব।’ ‘তবে দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছি। শেষদিকে ওভারপ্রতি ১৫ রান করে লাগত। অন্যতম সেরা বোলাররা বোলিংয়ে ছিল। টি-টোয়েন্টির টুইস্টে আমরা পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২ উইকেট হারিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম...শান্ত ও হৃদয় ব্যাট করছিল, জেতাটাকে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৩ বল বাকি থাকতেই পরাজয়’-যোগ করেন লিপু। এ দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স ও পরিণতিকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন প্রধান নির্বাচক। তার অনুভব, ওপরের ব্যাটাররা রান পাচ্ছে না সত্য। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। না পারার আরও জায়গা আছে। তাই লিপুর মুখে এ কথা, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে যদি তাকান, অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও জয়ের প্রান্তে নিয়ে যেতে পারেনি। দলগতভাবে উন্নতি করতে হবে।’

দুটো ম্যাচে হারের কারণ একদম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন লিপু। তিনি বলেন, ‘দুটো ম্যাচ দুটি কারণে হেরেছি। প্রথমটা ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং না করলেও যে রান করেছিল, বোলিং প্রতিপক্ষকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে আমাদের হারা উচিত হয়নি। এমন অবস্থা ছিল, শেষ ৪ ওভারের ৩ ওভারেই বল করবে মোস্তাফিজ এবং শরিফুল। আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি, দুর্ভাগ্য।’

‘দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটাররা সামর্থ্যের জায়গায় সঠিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। কল অব আওয়ার যা থাকে, চাহিদা চার-ছক্কা থাকলে সেদিকে ধাবিত হতে হবে। চাহিদা যদি থাকে সিঙ্গেল, দুই ওভারে একটা দুটো বাউন্ডারি, সে সময় সেই কৌশল নেওয়া উচিত ছিল। সে জায়গায় আমরা ভুল করে ফেলেছি।’

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Advertisement