অর্থনীতি

স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো দরকার: বিআইপি

বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

Advertisement

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মতামত প্রকাশ করেন বিআইপির বক্তারা। ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট: বিআইপির পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিআইপি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা টেকসই না হওয়াতে ও ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংখ্যাগত পরিমাণের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগত বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্নির্মাণে বাজেটে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, যুগ্ম সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম, বোর্ড সদস্য (একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স) উসওয়াতুন মাহেরা খুশি, বোর্ড সদস্য (মেম্বারশিপ অ্যাফেয়ার্স) মো. ফাহিম আবেদীন এবং আমানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বিআইপির ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে শিক্ষায় বাজেটের ২০ শতাংশ ও স্বাস্থ্যে ১০ শতাংশ বরাদ্দ দরকার। কালো টাকায় ১৫ শতাংশ ট্যাক্স আদায়ের সুযোগের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার যেমন লঙ্ঘিত হয়, ঠিক তেমনি জমি-ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়।

বিআইপির সভাপতি আরও বলেন, বিদ্যুত খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ না কমানো গেলে এ ভর্তুকি আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ প্রয়োজন।

কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক আমানুর রহমান বলেন, বাজেটে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। সবুজায়ন বাড়ানো আর নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা অত্যন্ত জরুরি।

বিআইপির ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ পেতে হলে সব সেক্টর নিয়ে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা আবশ্যক। বিনোদন খাত ও চিকিৎসা খাতের মূল সুবিধাভোগী হলো মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষ। এগুলোতে কর বসানো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Advertisement

বিআইপির যুগ্ম সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ ঠিক করার সময় দেখা উচিত আউটপুট হিসেবে কী পাওয়া যাচ্ছে। সারাদেশের জন্য পরিকল্পনা থাকলে, প্রতিটা প্রজেক্টের যৌক্তিকতা বোঝা যেত। আমাদের সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন করতে হলে পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই।

এমএমএ/এমএএইচ/