জাতীয়

মসজিদ-মাদরাসায় চামড়া দিচ্ছেন অনেকে

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কোরবানি করছেন। কোরবানির চামড়া অথবা চামড়ার মূল্য দান করার রীতি রয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ন্যায্য মূল্য মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে মসজিদ, মাদরাসায় চামড়া দান করছেন অনেকে।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত অনুযায়ী, যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদের চামড়ার বিক্রিত মূল্য দান করতে হবে। সুযোগ থাকলে নিজের গরিব আত্মীয়দের দিতে হবে। এতে দু’টি উপকারিতা প্রথমত, দান করার সওয়াব ও দ্বিতীয়ত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার সওয়াব। অনুরূপভাবে মাদরাসার এতিম-গরিব শিক্ষার্থীদেরও দেওয়ার কথা বলেন অনেকে। এখানেও দুই ধরনের সওয়াব। প্রথমত, দানের সওয়াব ও দ্বিতীয়ত, ইলমে দ্বীন শিক্ষাদানে সহযোগিতার সওয়াব।

রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় কোরবানির ঈদের দিন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের তেমন দেখা মেলেনি, অনেকে আবার নামমাত্র মূল্য দিতে চাইছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে নিকটবর্তী মসজিদ মাদরাসায় কোরবানির চামড়া দান করছেন। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা ভ্যানে করে বিনামূল্যে দেওয়া পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন এলাকায়।

আরও পড়ুন:ঈদের নামাজে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনামহল্লায় মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে রাস্তার মোড়ে এনে বিক্রি করার জন্য জমা করেছেন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাঁচা চামড়া নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অনেককে।

এছাড়া পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় কাঁচা চামড়ায় লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরে সেখান থেকে নিয়ে বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করা হবে।

দনিয়া মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান জানান, কোরবানির পশুর চামড়া অনেকেই মসজিদ ও মাদরাসায় দান করে। এবারও দান করছেন অনেকে। আমরা অনেকের পশু জবাই করি তারাও আমাদের চামড়া দিয়ে থাকেন। চামড়া সংগ্রহ করে আমাদের তাৎক্ষনিক কিছুটা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। যেগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়ে না সেগুলো লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে চামড়ার আড়তে নিয়ে বিক্রি করি।

আইএইচআর/এসএনআর/জেআইএম