বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী নয় দেশ এরই মধ্যে এই অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
Advertisement
সোমবার (১৭ জুন) স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশগুলো পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণে ব্যয় গত বছর এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়েছে।
তাছাড়া গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধকেকেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার অবনতি হয়েছে বলেও তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসআইপিআরআই-এর গণবিধ্বংসী কর্মসূচির পরিচালক উইলফ্রেড ওয়ান বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি।
Advertisement
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, বিশ্বে মোট ১২ হাজার ১২১টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩২১টি কম। সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে মজুত আছে প্রায় ৯ হাজার ৫৮৫টি।
এরমধ্যে ৩ হাজার ৯০৪টি মোতায়েন করা রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও এয়ারক্রাফ্ট ব্যবস্থায়, যা গত বছরের চেয়ে ৬০টি বেশি।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া চীনও কিছু অস্ত্র ব্যবহার উপযোগী করে রেখেছে।
Advertisement
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম