দেশজুড়ে

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে টাঙ্গাইলের জনজীবন

সপ্তাহখানেক স্থবির থাকার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করছে টাঙ্গাইলের ব্যবসা-বাণিজ্য। কারফিউ শিথিল করায় বেড়েছে কর্মজীবী মানুষের কর্মচাঞ্চল্য। তবে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি জেলার পরিস্থিতি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে জেলায় দোকানপাট, অফিস-আদালতসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হলে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে।

রিকশাচালক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘গত কয়েকদিন রিকশা চালাতে পারিনি। দু-একদিন ভয়ে ভয়ে যাও রিকশা নিয়ে বের হইছি, শহর ছিল মানুষশূন্য। যাত্রী ছিল না বললেই চলে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’

রাজমিস্ত্রির সহকারী মোহাম্মদ আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ কাজকর্ম না থাকায় জমানো টাকা ভেঙে বাজার-ঘাট করছি। অনেকে ধারদেনা করে চলছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি।’

অটোরিকশাচালক দুলাল মিয়া বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিয়ে অটো কিনেছি। শহরের অবস্থা থমথমে থাকায় এ কয়দিন অটো নিয়ে বের হইনি। কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান-বীন-মুহাম্মদ আলী বলেন, সিভিল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কটি যানচলাচলে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

দু-একদিনের মধ্যেই জেলার কারফিউ তুলে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

আরিফ-উর রহমান টগর/এসআর/এএসএম